priyojanala blogtour travel
Trending

ঢাকা সিটির ১০টি দর্শনীয় স্থান – ছুটির দিনে কোথায় যাবেন?

ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার মত ঢাকার ১০ টা স্থান

ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার মত ঢাকার ১০ টা স্থান।

 

ছুটির দিন। বাসায় বসে বসে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। অন্যান্য ব্যাস্ত দিনগুলোর একঘেয়েমি দূর করতে পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরে আসাটা কিন্তু মন্দ নয়। ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে? মানসিক স্বাস্থ্য এবং প্রশান্তির জন্য মানুষের ঘুরে বেড়ানোটা একরকম প্রয়োজনীয়। পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ালে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দৃঢ় হয় মানসিক বন্ধন, বাড়ে হৃদ্যতা। তবে দৈনন্দিন নগরজীবনের কাজের চাপে মানুষ সময় করে উঠতে পারে না। তাই আপনি যদি ঢাকাবাসি হন কিংবা ঢাকার আসেপাশে থাকেন তাহলে ছুটির দিনে কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার মত ঢাকার ভিতর অবস্থানকৃত ১০টি স্থানে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

ঢাকা সিটির ১০টি দর্শনীয় স্থান - ছুটির দিনে কোথায় যাবেন?

 

১.জাতীয় জাদুঘর।

 

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘর ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার মত একটি চমৎকার জায়গা। বিশেষ করে একদিনের জন্য পরিবারের সব বয়সী সদস্যদের নিয়ে ঘুরে আসার মত। জাতীয় জাদুঘরের চারতলা ভবনের বিভিন্ন বিভাগে মোট চল্লিশটি গ্যালারি রয়েছে। প্রকৃতির ইতিহাস, মানবজাতির বিবর্তন, বিশ্ব সভ্যতা, দেশীয় সস্কৃতির মূলধারা, বিভিন্ন ঐতিহাসিক নির্দশন রয়েছে জাদুঘরে। এর বিশাল সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে প্রাচীন শিল্পকর্ম, প্রাচীন মুদ্রা, হাতির দাঁত, বিখ্যাত মসলিন কাপড়, মুঘল আমলের যুদ্ধে ব্যবহৃত গোলাবারুদসহ বিভিন্ন অস্র সমুহ।

জাতীয় জাদুঘর

 

আরও রয়েছে বিভিন্ন প্রাচীন মুসলিম শাসনামলের বিভিন্ন মূর্তি এবং চিত্রকর্ম। রয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যব্যাহিক বিভিন্ন শিল্পকর্ম এবং হাতের কাজ। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দলিল এবং স্মারকসহ আরো অনেক দুর্লভ জিনিস জাদুঘরে বিদ্যমান। জাতীয় জাদুঘর বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ১০.৩০ থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। 

জাতীত জাদুঘরের লোকেশন- শাহবাগ, ঢাকা। ( শাহবাগ মোরে- কাটাবান/বাংলামোটর/ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ রমনা এরিয়ার নিকটে)

 

২. লালবাগ কেল্লা।

 

লালবাগ কেল্লা পুরান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত মোগল সাম্রাজের এক অসমাপ্ত প্রাচীন দূর্গ যা বর্তমানে জাদুঘর এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন।

 

১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের ছেলে মুঘল সম্রাট আজম শাহ প্রাসাদটি নির্মাণের উদ্বেগ নেন। খুব কম সময়ে সিংহাসনে থাকার কারনে দূর্গের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর পরবর্তীতে সুবেদার শায়েস্তা খাঁ পুনরায় এটি নির্মানের কাজ শুরু করেলেও ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে কাজ আবারও ববন্ধ হয়ে যায় এবং অসমাপ্তই রয়ে যায়। লালবাগ কেল্লায় রয়েছে প্রাচীন তিন গম্বুজ মসজিদ যা দৃষ্টি কাড়ে সবার। রয়েছে পরীবিবির চতুষ্কোন সমাধি। স্থাপনাটির ভিতরে রয়েছে সাদা মার্বেল পাথরের ফুল,পাতা এবং বিভিন্ন নকশা করা কষ্টি পাথরের ট্যালি।

লালবাগ কেল্লা

স্থাপনাটির ছাদ করবেল পদ্ধতিতে কষ্টি পাথরে তৈরি এবং চারকোণে চারটি অষ্টকোণ মিনার ও মাঝে একটি অষ্টকোণ গম্বুজ রয়েছে। লালবাগ কেল্লা দূর্গে রয়েছে সুড়ঙ্গপথ যা দূর্গটির মূল আকর্ষন।এছাড়া আরও দর্শনীয় বাগান, ফোয়ারা রয়েছে। লালবাগ কেল্লায় ঢুকতে টিকিট এর মূল্য ২০টাকা।পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদের টিকিট লাগে না। বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিট মূল্য ২০০টাকা।

লালবাগ দেখতে অবশ্যই ২-৩টার মধ্যে উপস্থিত থাকা ভাল কেননা ৫টার পরে বেশিরভাগ সময়ে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায় এবং ভিতরে অবস্থানের সময় খুবই কম থাকে।

লালবাগ কেল্লার লোকেশন- লালবাগ, ঢাকা।  ( চকবাজার / আজিমপুর / ঢাকেশ্বরী / পলাশী এরিয়ার নিকটে)

 

৩.বোটানিক্যাল গার্ডেন।

 

রাজধানী ঢাকায় একটু সবুজের সমারোহ অনুভব করতে চান, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশ জাতীয় উদ্যান অর্থাৎ বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ঢাকার মিরপুরে চিড়িয়াখানার ঠিক পাশেই অবস্থিত এই পার্কটি।

বোটানিক্যাল গার্ডেন

 

২০৮ একর জায়গা বেস্টিত এই জায়গাটি বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ উদ্যান। জায়গাটি প্রায় ৮০০ প্রজাতির বিভিন্ন বৃক্ষ রয়েছে। বিভিন্ন ফুল, ফল, ঔষধি গাছগাছালিসহ রয়েছে পুকুর, দিঘী, ফুলের বাগান এবং সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে সবুজের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে বেড়াতে আসার জুড়ি নেই। বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শনের সময়সূচি সকাল ৯.০০ থেকে বিকেল ৫.০০ পর্যন্ত। গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের টিকিট লাগে না। শিক্ষার্থীদের জন্য জনপ্রতি ৩টাকা করে লাগবে। 

বোটানিক্যাল গার্ডেন লোকেশন-  মিরপুর- চিড়িয়াখানা রোড।  ( মিরপুর ১/ চিড়িয়াখানা এরিয়ার নিকটে)

 

৪.হাতির ঝিল।

 

ছুটির দিন কিংবা বিকেলটা একটু আনন্দে কাটাতে চান? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকা আধুনিক বিনদন কেন্দ্র হাতিরঝিলে।২০১৩ সালে উদ্ভোদন করা ঢাকার এই মনোরোম বিনোদন কেন্দ্র বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়। হাতিরঝিলের টলটলে সবুজ পানিতে ওয়াটারবাস ভাড়া করে ঘুরতে পারবেন পুরো ঝিল। খোলা আকাশের নিচে মনোরম পরিবেশের হাতিরঝিলে সম্প্রতি যোগ হয়েছে রঙ-বেরঙের আলোর সাথে পানির ফোয়ারা। মিউজিকের সাথে তাল মিলিয়ে নাচতে থাকে এসব ফোয়ারাগুলো। সাথে চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানি। যা অত্যন্ত মনমুগ্ধকর। মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন এবং অ্যাম্পিথিয়েটারের বাড়তি বিনোদন উপভোগ করার সুযোগ মিলে বিভিন্ন উৎসবে।রাত ৯.৩০ শুরু হওয়া  এ ফোয়ারা চালু থাকে ১৫ মিনিটের মতো সময় ধরে। 

হাতিরঝিল লোকেশন-  তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, নিকেতন, মহানগর হাউজিং,কাওরানবাজার, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজারের নিকটতম এরিয়া। 

 

৫. সংসদ ভবন।

 

জাতীয় সংসদ ভবন ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত। কংক্রিট এবং ইটের তইরি এই ভবনটির স্থপতি হচ্ছেন মার্কিন স্থপতি লুই আই কান। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এর স্থাপত্যশৈলি এবং মনোরোম পরিবেশের কারনে এটি ঢাকার একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে। মূল ভবনটি কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে অবস্থিত। এমপি হোস্টেল এবং জরুরী কাজে ব্যবহৃত ভবনসমূহ কমপ্লেক্সের বহির্ভাগে অবস্থিত। মূল ভবন ঘিরে অবস্থিত কৃত্রিম হ্রদ, দুটি বাগান এর মাঝের শূণ্যস্থান পূরণ করেছে। জাতীয় সংসদ ভবনের স্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একইসাথে প্রকৃতির বিভিন্ন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামের দিকটিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোতে সংসদ ভবন লাল সবুজ বাতি দিয়ে সাজানো হয়।

সংসদ ভবন

 

সংসদ ভবন লোকেশন- মানিক মিয়া এভিনিউ/আসাদ গেট/খামার বাড়ি/ফার্মগেট/চন্দ্রিমা উদ্যান/ধানমন্ডি ২৭ এর নিকটতম এরিয়া।

৬.মিরপুর, চিড়িয়াখানা।  

 

 বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। এটি প্রায় ৭৫ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। চিড়িয়াখানা খানা শিশুদের জন্য এক অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। তবে পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো জন্য একটি আদর্শ জায়গা। জাতীয় চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষন হলো পৃথিবীর বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এছাড়াও ১৯১ প্রজাতির দেশি এবং ২১৫০টি প্রজাতির বিদেশি প্রানী রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির হরিন, বানর, সিংহ, গন্ডার, জলহস্তি, ভাল্লুক, কুমির, জেব্রা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে।

মিরপুর, চিড়িয়াখানা

 

মিরপুর চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। এছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

 

মিরপুর চিড়িয়াখানা প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০টাকা।

চিড়িয়াখানা লোকেশন-  মিরপুর- চিড়িয়াখানা রোড।  ( মিরপুর ১/ চিড়িয়াখানা এরিয়ার নিকটে)

 

৭.আহসান মঞ্জিল।

 

আহসান মঞ্জিল ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙা নদীর তীরে অবস্থিত। ঐতিহাসিক এই নিদর্শনটিকে ঢাকা শহরের প্রথম ইট-পাথরের স্থাপনা হিসেবে মনে করা হয়। দোতলা এই ভবনটির বারান্দা এবং মেঝে তৈরি করা হয়েছে মার্বেল পাথর দিয়ে। আহসান মঞ্জিলের প্রাসাদের ভেতরে র‍য়েছে জলসাঘর, দরবারহল, অতিথিদের থাকার কক্ষ, বৈঠক খানা, নাচঘর,এবং আরো কিছু বসবাসের কক্ষ। প্রাসাদের সামনে রয়েছে  একটি বড় সিড়ি, মনোরম ফুলের বাগান এবং একটি বড় সবুজ মাঠ। জানা যায় যে লর্ড কার্জন ঢাকায় আসলে আহসান মঞ্জিলে থাকতেন। এটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নির্দশনগুলোর মধ্যে অন্যতম। পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন অনেক পর্যটক। শনিবার থেকে বুধবার, সপ্তাহে পাচঁ দিন সকাল ১০.৩০ থেকে বিকেল ৫.৩০ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। ১২ বছরের নিচে শিশুদের জন্য প্রবেশ মূল্য ১০টাকা।

আহসান মঞ্জিল

 

আহসান মঞ্জিল লোকেশন-  ইসলামপুর/ঢাকা সদরঘাট/মিডফোর্ড হাঁসপাতাল/বাবুবাজার ব্রিজ এর নিকটতম এরিয়া।  

৮. বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।

 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি বর্তমানে স্মৃতি তার জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। বাড়িটিতে রয়েছে তার সারা জীবনের বিভিন্ন দূর্লভ ছবি এবং তার শেষ সময়ের অনেক স্মৃতি। বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং তার পরিবারের নানা স্মৃতি রয়েছে এই বাড়িতে। মূলত তার স্মৃতিকে উজ্জীবিত রাখতে ১৯৯৭ সালে এই বাড়িটিকে জাদুঘরটি পরিনত করা হয়। এটিকে বঙ্গবন্ধু ভবনও বলা চলে। বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার, সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জাদুঘরটি খোলা থাকে। 

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর

 

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর লোকেশন-  ধানমন্ডি ৩২/ ধানমন্ডি লেক/ লালমাটিয়া/রাসেল স্কয়ার/ স্কয়ার হাঁসপাতাল/কলাবাগান এর নিকটতম এরিয়া।

৯.চন্দ্রিমা উদ্যান।

 

ঢাকা শহরের প্রানকেন্দ্রে সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত চন্দ্রিমা উদ্যান। ক্রিসেন্ট লেক এর পাশে অবস্থিত এ উদ্যানটি ১৯৮১ সালের পূর্বে গবাদি পশু পালন এবং চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত হতো।পরবর্তীতে মরহুম জিয়াউর রহমানের সমাধি থাকায় এলাকাটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। প্রায় ৭৪ একর জায়গা জুড়ে মরহুম জিয়াউর রহমানের সমাধি, ক্যান্টি,  ঝুলন্ত সেতু, মেমোরিয়াল হল এবং মসজিদ। উদ্যানের মূল আকর্ষণ হচ্ছে ক্রিসেন্ট লেক এবং ফোয়ারাসমুহ। চন্দ্রিমা উদ্যান সব দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

চন্দ্রিমা উদ্যান


চন্দ্রিমা উদ্যান লোকেশন-  মানিক মিয়া এভিনিউ/আসাদ গেট/খামার বাড়ি/ফার্মগেট/সংসদ ভবন/বিজয় সরণী এর নিকটতম এরিয়া।

১০. শ্যামপুর ইকো পার্ক।

 

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ইকো পার্ক। ২০১২ সালে নদীর অভন্তরীন নৌপরিবাহন কতৃপক্ষ এই পার্কটি নির্মাণ করেন। রাজধানী ঢাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর এক বিশেষ জায়গা। ইকো পার্ক এ আছে বিভিন্ন রকমের ২৪টি রাইড, বাগান, নদীর তীরবর্তী নৌঘাট, ৯ডি সিনেমা, ফুড কোর্টসহ আরও অনেক সুব্যবস্থা। ইকো পার্ক এর প্রবেশেমুল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। রাইড উপভোগ করতে চাইলে রাইড ভেদে ৩০-১০০ টাকা জনপ্রতি খরচ হবে। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। 

শ্যামপুর ইকো পার্ক

শ্যামপুর ইকো পার্ক লোকেশন- শ্যামপুর/ কদমতলী/ পোস্তগোলা/ পোস্তগোলা ব্রিজ এর নিকটতম এরিয়া। 

ছুটির দিনে ঢাকার সিটির ভিতর অবস্থানকৃত আরো কিছু স্থান যেখানে ঘুরে আসতে পারেন। 

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর (বিজয় সরণী), সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্তর, শিল্পকলা একাডেমী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার,বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর, রায়ের বাজার বধ্যভূমি, বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, শিশুমেলা, পুরান ঢাকা, বুড়িগঙ্গা নদী, ধানমন্ডি লেক, ম্যাটাডোর পার্ক,ইত্যাদি। সহ ঢাকার একটু দূরে উত্তরা দিয়াবাড়ি, ৩০০ ফিট এর মত স্থানেও ঘুরে আসতে পারেন।

ঢাকার সিটির ভিতর অবস্থানকৃত আরো কিছু স্থান যেখানে ঘুরে আসতে পারেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

 

রায়ের বাজার বধ্যভূমি
রায়ের বাজার বধ্যভূমি

 

সুপ্রিয় পাঠক পোস্টটি পড়ে আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। এরপর কোন বিষয় নিয়ে জানতে চান তা আমাদের কমেন্ট করে জানান। আমরা পরবর্তীতে সে বিষয়ে তথ্য নিয়ে হাজির হব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

 

 

আমাদের প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন ।

 

 

 https://www.facebook.com/priyojanala

 

 

আমাদের ফেইসবুক পেইজ- প্রিয়জানালা

 

 

Back to top button