healthtips

শীতকালে মধুর ১০টি উপকারিতা-মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধুকে বলা হয় সর্বরোগের ঔষধ। কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন যেন স্থবির। শীতকালে স্বাস্থ্য সমস্যাসহ দেখা দেয় নানা সমস্যা। সেসব সমস্যা কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে মধুর উপকারিতা সম্পর্কে।
১. শীতে বাড়ে সব ধরনের চর্মরোগ। আর মধুতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেণ্ট। তাই ত্বকের স্বাভাবিক সমস্যায় মধুর প্রলেপ লাগাতে পারেন।
২. শীতকালে সর্দি -কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট সমস্যায় গরম পানিতে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে সর্দি-কাশি ভালো হবে।
৩.যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না, তারা গরম দুধের সাথে এক চামচ  মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে রাতে ভালো ঘুম হবে সেই সাথে দুর্বল শরীরে শক্তি পাবেন।
৩. শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা কমাতে লেবু মধু ও টকদই মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে শুষ্কতা ও বলিরেখা দূর হবে।
৪. যাদের অতিরিক্ত শীত অনুভূত হয় তারা গরম পানিতে আদা ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে শরীর গরম থাকবে।
৫. দীর্ঘদিনের কাশির সমস্যায় তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়।
৬. শীতে যাদের অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটে তারা রাতে ঠোঁটে মধু লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে যাবে এবং ঠোঁট গোলাপি হবে।
৭. যাদের শরীরে ব্যাথার সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খেতে পারেন।  এতে শরীরের ব্যথা ভালো হবে।
৮. শীতকালে গলা খুশখুশ করা বা গলাব্যথা হলে গরম চায়ে আদা, লবঙ্গ, এবং মধু মিশিয়ে কয়েকবার করে খেলে গলা খুশখুশ বা গলাব্যথা ভালো হবে।
৯. যাদের অরুচির সমস্যা আছে এবং শীতকালে ওজন বাড়াতে চাইছেন তারা নিয়মিত কাঠ বাদাম বা ড্ৰাইফ্রুটের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে রুচি বাড়বে এবং ওজনও বাড়বে।
১০. শীতকালে অনেকেই ত্বক শুষ্ক হওয়ার ভয়ে ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন না।  তারা ফেসপ্যাক বা বডিপ্যাকের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।  এতে ত্বক শুষ্ক হবেনা, ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
শীতে নানা রকম শীতকালীন অসুখ ও ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এই সব সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া সমাধান হিসাবে মধুর কোন বিকল্প নেই।  শীতে মধু খান, মধুর ব্যবহার করুন।  শীতেও সুস্থ এবং উজ্জ্বল থাকুন।
স্বাস্থ্য বিষয়ে টিপস পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজের সাথে থাকুন- প্রিয়জানালা
Back to top button